বাংলাদেশের ফুটবলে যেটা নেই, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে সেটা ভীষণভাবে রপ্ত — নয় বছরের ছেলেদের ছন্দময় খেলা

বাংলাদেশের ফুটবলে প্রতিভার অভাব নেই, কিন্তু ঘাটতি আছে ছন্দ আর মৌলিক দক্ষতায় — যা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে শৈশব থেকেই রক্তে মিশে যায়।
ব্রাজিলের ছোট্ট শহরের গলিতে, সমুদ্রতটে বা স্কুল মাঠে, নয়–দশ বছরের বাচ্চারাও এমনভাবে বল নিয়ে খেলে, যেন তাদের শরীরে ফুটবল প্রাকৃতিক স্রোতের মতো বয়ে চলেছে।

তাদের খেলার ভেতর আছে তাল, ছন্দ, আনন্দ —
কেউ শেখায় না, তারা খেলার মধ্যেই শেখে বল নিয়ন্ত্রণ, ভারসাম্য, ড্রিবলিং আর তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কৌশল।
এটাই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের আসল জাদু — খেলার মধ্যে খেলা, আনন্দের মধ্যে শিক্ষা।

বাংলাদেশে এখনো আমরা ফুটবল শেখাই কাঠামো দিয়ে, কিন্তু ব্রাজিল শেখায় অনুভূতি দিয়ে।
ওরা জানে, ফুটবল শুধু টেকনিক নয়, এটা শরীর আর সঙ্গীতের মেলবন্ধন।
তাই তাদের নয় বছরের শিশুরাও খেলে এমন ছন্দে, যেখানে পায়ের স্পর্শে বাজে এক অদ্ভুত সুর —
যেন প্রতিটি পাস, প্রতিটি টাচ একেকটা নাচের ধাপ।

বাংলাদেশের ফুটবলে যদি এই ‘ছন্দ’—এই আনন্দের ধারণাটা ঢুকিয়ে দেওয়া যায়,
তাহলে আমরাও হয়তো একদিন দেখতে পাবো —
আমাদের গলিতেও জন্ম নিচ্ছে সেই সাম্বা স্পিরিট,
যেখান থেকে উঠে আসবে পরবর্তী প্রজন্মের তারকারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top