ফুটবল যেখানে মিশে আছে আত্বার সাথে। সেখানে বয়সের ভার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে চলে উৎসব। জীবন হয়ে ওঠে রঙ্গিন।
ফুটবল যেখানে মিশে আছে আত্বার সাথে। সেখানে বয়সের ভার তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে চলে উৎসব। জীবন হয়ে ওঠে রঙ্গিন।
সমুদ্রের ঢেউয়েও যেনো সাম্বার দোল। হিল্লোল তোলা সাগর লহরীর সাথে তাল দিয়েই নাচছে মানুষ, সমুদ্র ছন্দে তাল মিলিয়েই যেনো গাইছে কেউ কেউ।
সেই আনন্দকে উৎসবে রূপ দিয়েছে জোছনার রঙ, মায়ালোকে পরিণত হয়েছে রাতের রথযাত্রা। পৃথিবীতে থেকেও যেনো এটা অপার্থিব।
জোছনায় গল্পে মগ্ন প্রেমিক যুগল। পুরো পৃথিবীর রূপরঙ উপেক্ষা করে তারা যেনো স্বর্গের কোনো এক অমিয় পুষ্প কাননে কথোপকথনে বিভোর।
তবে ফুটবলও এখানকার অমিয় প্রেম। আলো ঝলমলে রাস্তায় ফুটবলপ্রেমীদের দারুণ কিছু মুহুর্তের দেখা পাওয়া যায়।
আছে ভলিবলও। কোর্টে লাফিয়ে উঠে, আকাশ থেকে এরা চাঁদ কেউ ছিনিয়ে আনতে চায়।
যেন স্বপ্নলোকের পর্দা ভেদ করে উঠে আসা সব অবিরাম রোমান্টিক দৃশ্যপট।
দৃশ্য গুলো পাতালপুরীর নয় বরং এগুলো ধরিত্রীর বুকেই লুকিয়ে থাকা স্বর্গের এক স্বপ্নরাজ্য।
এটি, ফুটবলের দেশ ব্রাজিলের সেই ঐতিহাসিক কোপাকাবানা বিচ, যার মোহিনী রূপ রূপকথাকেও ম্লান করে দেয়।
ব্রাজিলের রাজধানীর রিওডিও জেনিরো”তে অবস্হিত এই বীচ। এটি পুরো পৃথিবীর কাছে, ইংরেজি নববর্ষ বরণের জন্য বিখ্যাত।।
এখানে ঐতিহাসিক বেশ কিছু দুর্গ আছে। যার মাঝে উল্লেখযোগ্য এটিই। ১৮৯২ সালে- বলোভিয়ার দেবী কোপাকাবনার অকীর্তিত তৈরি হয়। সেই থেকে এই শহরের নামকরণ করা হয় এই কোপাকাবানা।
এখানে যেন স্বর্গলোকের পরীদের আবির্ভাব হয়। নৃত্য ও গানে ভরিয়ে তোলে আনন্দের রঙে, শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার হৃদয় হয় উচ্ছ্বসিত। তাদের ছন্দে ও হাসিতে বীচের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়ে।
খেলাধুলার জন্যও বীচ টি জগৎ বিখ্যাত! অন্তর্জাতিক বীচ ফুটবলের তারার হাট বলা যায় কোপকাবানাকে। এটি বীচ ফুটবল বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ভেন্যু হিসাবে নির্ধারিত এটি ।
চার কিলোমিটার লম্বা এই সৈকতে, ফুটবলের পাশাপাশি, ভলিবল খেলা আবিরাম চলতে থাকে। পর্যটকেরা বিনোদন ও শান্তির খোঁজে এই সৈকতে ভিড় করেন। সেজন্যই সৈকত পাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসাও জমজমাট।
ব্রাজিলের রিও থেকে অর্নব বাপি ল্যাটিন বাংলা।
