ফুরফুরে আর চাঙা, মনোবলে রাঙা ব্রাজিল। সাম্বা নাচের ছন্দ গ্রানজা কুমারিতে। মৃদুমন্দ বাতাসে চলছে অনুশীলন; চিলির শিবিরে চিড় ধরানোর পর এবার বলিভিয়া বধের পালা।
তবে কেবল বলিভিয়াকে ধসিয়ে দেয়াই শেষ কথা নয়, চোখ ছাব্বিশে, বিশ্বকাপে এবার বিশ্ব কাঁপানো পারফরম্যান্স চাই। গোল দেয়ার প্রস্তুতির সাথে গোল ঠেকানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ব্রাজিলজাতীয় দলের তিন গোল-রক্ষক, ভিন্ন গ্রাউন্ডে চলছে তাদের চর্চা। আলিসন বেকারও তৈরি বলিভিয়া অ্যাটাক ঠেকানোর প্রস্তুুতির সাথে অনুজদের তামিল দেয়ার ভারও তার কাঁধে।
টটেনহ্যাম তারকা রিচার্লিসন অবশ্য সবার আগেই পা-রাখলেন গ্রান্জা কুমারির গালিচাই। বলিভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও তার দায়িত্ব অগ্রগামীর, পথ দেখাতে হবে আগেভাগে।।
প্র্যাকটিসের শুরুতেই মধুর দমশ্য। ল্যাটিন বাংলার ক্যামেরাবন্দি হলো এক হৃদয়গ্রাহী দৃশ্য; মারকুইনহোস আর রাফিনিয়ার বন্ধুত্ব। দলের ভেতরে এই দুইজনের সম্পর্ক যেন সবার চেয়ে আলাদা। হোটেল থেকে শুরু করে অনুশীলন পর্যন্ত, তারা থাকেন বিনেসুতার মালায় গাঁথা দুটি মুক্তোর মতো।
বরাবরই মতই আজও অনুশীলনে বড্ড সিরিয়াস হেড-মাস্টার কার্লো আনচেলত্তি। লড়াইটা টেবিলের ৮ নম্বর থাকা দলের সঙ্গে হলেও সবার জানা, প্রকৃতি মূলত হবে সেলেসাওদের বড় বাধা।
অবশ্য এসব বাঁধা কে থোরাই কেয়ার এই মাস্টারমাইন্ডের। বরং কন্ডিশন কোন বাধা নয় তার কাছে। তাই এই ম্যাচে চালাতে চান এক্সপেরিমেন্ট। অভিজ্ঞ ক্যাসিমিরোকে পাওয়া যাচ্ছে না, সঙ্গত কারণেই সুযোগ দিতে চান একাধিক তরুণকে সুযোগ।
ব্রাজিল বসের কথায় পরিষ্কার। টানা দুই ম্যাচ জয় তুলে পাহাড় সমান মনোবল আছে পুরো শিবিরে।
যদিও সেলেসাওদের এই মনোবলকে নাড়িয়ে দিতে পারেন বলিভিয়ার ২১ বছর বয়সী ফরওয়ার্ড মিগুয়েল টেরসেরোস। ইতিমধ্যেই বাছাইপর্বে ছয় গোল ভরেছেন ঝুলিতে, টপ গোল-স্কোরারের তালিকায় নাম্বার থ্রি। মুহূর্তেই তিনি ভস্ম করতে পারেন ব্রাজিলীয় রক্ষণকে।
তবুও সেলেসাওদের স্বস্তি দিচ্ছে ইতিহাস। এখন পর্যন্ত ৩৩ লড়াইয়ে ২৪ জয়, মাত্র ৫ পরাজয়, বাকি কয়টি ড্র। সর্বশেষ দেখাতেই ঘরের মাঠে ৫–১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বলিভিয়াকে।
তাই অতি উচ্চতার কারণে এস্তাদিও মিউনিসিপ্যাল এল আল্টো প্রতিপক্ষের জন্য মৃত্যুকুপ হলেও জয়ের খোঁজেই মাঠে নামবে কার্লো আনচেলত্তির ছেলেরা।
